সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজারের বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো.হাবিবুর রহমানের নানা অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার বেতারের সর্বস্থরের শিল্পীরা। রোববার (২ জুলাই) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কক্সবাজার বেতার শিল্পী ঐক্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ প্রতিবাদী কর্মসুচিতে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক জোটসহ জোটভুক্ত প্রায় ২০টি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাবেশে শিল্পীরা বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান শিল্পীদের সম্মানীর টাকা নিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন এবং তার অনিয়মের নানা চিত্র তুলে ধরেন। অবিলম্বে তাকে অপসারণ পূর্বক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। মানববন্ধন শেষে শিল্পীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দেন।
সংগঠনটির আহবায়ক বেতারের সংগীত প্রযোজক অধ্যাপক রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ মানব বন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে কক্সবাজার বেতারের নাট্য প্রযোজক জসীম উদ্দিন বকুল,অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত,সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত,নাট্য প্রযোজক স্বপন ভট্টাচার্য্য,সংগীত প্রযোজক বিভাস সেন গুপ্ত জিগমী,কক্সবাজার সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন,সংগীত শিল্পী প্রবীর বড়–য়া,শাহ আলম,আব্দুল মতিন আজাদ,ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম,অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন,নাট্যশিল্পী সুশান্ত পাল বাচ্চু,অনুষ্ঠান ঘোষক এড. প্রতিভা দাশ, মো.শহিদুল ইসলাম,তৌফিকুল ইসলাম লিপু ও কক্সবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অর্পণ বড়–য়া প্রমুখ বক্তব্যদেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরেশ কান্তি দে ও অধ্যাপক নীলোৎপল বড়–য়া।
সমাবেশে অধ্যাপক রায়হান উদ্দিন জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠান নিয়ে আঞ্চলিক পরিচালক হাবিব পুকুর নয়,সাগর চুরির মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। চারটি অনুষ্ঠানে তিন লাখ টাকাও খরচ না করে তিনি শিল্পীদের সই নকল করে নামে-বেনামে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বিল করে করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চলতি বছরের মে ও জুন মাসে নামে মাত্র কয়েকটি রেকডিং একইভাবে বিল করেছেন প্রায় ১৯ লাখ টাকা। যেখানে মৃত ব্যক্তিরাও বাদ যায়নি তার ভুয়া তালিকা থেকে। শুধুমাত্র বহিরাঙ্গন ও মে-জুনের বিল থেকেই তিনি প্রায় ৩৫ লাখ টাকার অনিয়ম করেন।
জসীম উদ্দিন বকুল ও স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন,বেতারের ইতিহাসে আরডি হাবিবুর রহমানের অনিয়ম-দূর্নীতি অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিল্পী সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তাকে অবিলম্বে অপসারণ পূর্বক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা পর্যন্ত শিল্পীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাঁরা আরো বলেন,শূধু আর্থিক অনিয়ম নয়,বেতারের ইতিহাসে ঘটেনি এরকম আরো অনেক ঘটনার সন্ধান আমরা পাচ্ছি,সময় হলে তাও মিডিয়াকে বলবো। এছাড়াও নিজের দোষ ঢাকার জন্য বহুল বিতর্কিত আরডি হাবিব নানা রকমের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন,তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও শিল্পীদের পাশে থাকার জন্য কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে বেতার শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মধ্যে,বনানী চক্রবর্তী,মিনা মল্লিক,সংগীত বড়–য়া,নাসির উদ্দিন বিপু,জুলফিকার আলী,খেলাঘর নেতা সাংবাদিক দীপক শর্মা,রূপম কুমার সুশীল,উত্তম পাল,,জামাল হোসেন মনু,দীপু,কবি কালাম আজাদ, এড. রাশেদ উদ্দিন, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন,পাভেল দাশ,শাহানা মজুমদার চুমকী, বাবুল পাল,ফাল্গুনি দাশ, বোরহান মাহমুদ,জয় বড়–য়া,বিপুল সেন,খোরশেদ আলম,জুয়েল কুমার ধর,আরমান মালিক,রুবেল ধর,সোহেল রানা,সিক্ত বড়–য়াসহ দুই শতাধিক শিল্পী,কলাকুশলী ও সংস্কৃতি অংশ নেন।
এদিকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক জোটছাড়াও কক্সবাজার থিয়েটার,গণমুখ থিয়েটার,থিয়েটার আর্ট,বেলাভুমি খেলাঘর রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,শব্দায়ন আবৃত্তি একাডেমী ও ছাত্র ইউনিয়নসহ কক্সবাজারের বিশটি সংগঠন এ আয়োজনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।
পাঠকের মতামত: